নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে স্বাগতম! প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ নারী শিক্ষার এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ। ইতিহাসের সাক্ষী এ প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকার নারী সমাজকে শিক্ষিত ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অর্ধ-শতাব্দী ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৪৩ সালে শেঠ তোলারাম গার্লস কলেজের ক্লাস চলতো মর্গান উচ্চ বিদ্যালয়ে। ১৯৪৮ সালে কলেজটির নতুনভাবে নামকরণ করা হয় তোলারাম কলেজ হিসেবে। চাষাঢ়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় নিজস্ব ভবন এবং চালু করা হয় সহশিক্ষা। স্তব্ধ হয়ে যায় নারীদের উচ্চ শিক্ষার স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের দিগন্ত। কিন্তু শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী মিলন মোহনায় প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জে নারী শিক্ষা প্রসারের নিমিত্তে নারায়ণগঞ্জের কতিপয় শিক্ষানুরাগী একটি স্বতন্ত্র মহিলা কলেজের অভাব অনুভব করেন। তাঁদেরই উদ্যোগে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ উইমেন্স কলেজ। কয়েকজন ছাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাব ভবনে চলতো ক্লাস। অগ্রযাত্রার প্রথমেই শিক্ষক স্বল্পতা, অবকাঠামোগত অসুবিধায় কলেজটি ছাত্রী শূন্য হয়ে পরে। ১৯৬৩ সালে কলেজটি স্থানান্তরিত হয় মিউনিপ্যাল পাবলিক লাইব্রেরী ভবনে। কিন্তু এখানে বেশি দিন চললো না। ভবন সমস্যায় কলেজটি তোলারাম কলেজের ছাত্রীদের শিফটের সংগে একীভূত হয়ে গেল।পরবর্তীতে তোলারাম কলেজের দানকৃত জমির ওপর ১৯৬৫ সালে গড়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ সরকারিমহিলা কলেজের প্রথম নিজস্ব ভবন। কিন্তু এখনেই শেষ নয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে কলেজটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে দেশ স্বাধীনের পর কলেজটি স্থানান্তরিত হয় সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। স্থানীয় দ্বিগুবাবুর বাজারস্থ স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার পরিত্যক্ত ভবনেও কলেজের ক্লাশ চলে কয়েকদিন।এভাবে চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজ ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর সরকারি কলেজ হিসেবে জাতীয়করণকৃত হয়। ১৯৮৪ সালের ১ ফ্রেব্রুয়ারি তৎকালিন রাষ্ট্রপতি হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ নারায়ণগঞ্জকে জেলা হিসেবে ঘোষণার সংগে সংগে নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজকেও সরকারীকরণের ঘোষণা প্রদান করেন।