রাজধানী ঢাকার মাত্র ১৬ কিলোমিটার দুরে শীতলক্ষ্যা ওধলেশ্বরীর মিলন মোহনায় প্রাচ্যের ড্যান্ডি বলে পরিচিতনারায়ণগঞ্জ শহরে ১৯৬৫ সালে নারী শিক্ষা প্রসারে ঞ্জান তাপসখগেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী প্রতিষ্ঠা করেন নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজ, যা১৯৮৪ সালে জাতীয়করণ হয়।প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কলেজটি নারীশিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে।বর্তমানে ৬২ জনশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ৬টি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ১১০০জন, স্নাতক (পাশ) কোর্সে ১২৫০ জন এবং একাদশ ও দ্বাদশশ্রেণীতে প্রায় ৫০০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষানিশ্চিতকল্পে শিক্ষকগণ নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার ফলস্বরূপ প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি(পাশ) ও অনার্স পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল আর্জন সম্ভব হচ্ছে।কলেজে শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরমেধা ও মননের বিকাশে গড়ে তোলা হয়েছে ডিবেটিং ক্লাব, বেগম রোকেয়া পাঠচক্র। তাছাড়া খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মনোরম পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছেকলেজটিতে প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বত:স্ফুর্তভাবেআংশগ্রহণ করে।পড়াশুনার পাশাপাশি কলেজের মেয়েরা রোভার, রেঞ্জার ও বি.এন.সি.সির মতো সামাজিক সংগঠনে জড়িত। প্রতিবছর জাতীয় দিবসগুলোর অনুষ্ঠানেনারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বি.এন.সি.সির মেয়েরা অংশগ্রহণ করে সুনাম অক্ষুন্ন রাখছে।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার যেচ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছেন ভিশন ২০২১’ তার মধ্যে অন্যতম। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি। তারই অংশ হিসেবেসম্পূর্ণ কলেজ ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাই জোনে পরিনত করা হয়েছে। এছাড়া কলেজের নিজস্ব পূর্ণাঙ্গ ওয়েব সাইট তৈরী করা হয়েছে। মনোরম পরিবেশে পড়াশোনা ওশিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে চলেছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে। কলেজের সর্বাঙ্গীন সাফল্য ও সম্ভা্নায় সকলকে সাথে নিয়ে কাজকরে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে সকলের প্রতি রইল আমার শুভ কামনা।
শাহিন সুলতানা
উপাধ্যক্ষ